গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নবম শ্রেনীর এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে বিয়ের দাবিতে ছেলের বাড়ি গেলে মা ও মেয়ে মারধর ও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এলাকাবাসী ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার বড়ইবাড়ী (কোটামনি) এলাকার আনিছ মৃধার ছেলে জামিল মৃধা দীর্ঘদিন ধরে নবম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে বিভিন্ন সময় প্রেম নিবেদন করে আসছিল। এক পর্যায় গত দুই বছর তার সঙ্গে ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সর্বশেষ গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে জামিল একই প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে বাড়ির পাশে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ওই ছাত্রীর পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে জামিলকে বিয়ের কথা বলেন। তার কথা মতো গত মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ওই ছাত্রী ও তার মা বিয়ের দাবী নিয়ে ধর্ষক জামিলের বাড়িতে যায়। এ সময় জামিলের বাবা আনিছ মৃধা, মা জমিলা বেগম, চাচা নাসির মৃধা, চাচী হিমা বেগম তাদের অকথ্য ভায়ায় গালিগালাজ করে। এক পর্যায় তারা ওই ছাত্রী ও তার মাকে এলোপাথারি পিটিয়ে নিলা-ফুলা জখম করে। এ সময় ধর্ষকের মা জমিলা বেগম ধারালো বটি দিয়ে ওই ছাত্রীর মাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। মাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে ওই ছাত্রীর কবজির উপর বটির কুপে কেটে রক্তাক্ত হয়। পরে মা-মেয়েকে নানা হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিলে ওই ছাত্রীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চলছে।